বর্তমান সময়ে Multiple Sclerosis (MS) একটি গুরুত্বপূর্ণ স্নায়বিক রোগ হিসেবে বিশ্বজুড়ে আলোচিত। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভুলবশত স্নায়ুকে ঘিরে থাকা সুরক্ষামূলক স্তর (myelin sheath) আক্রমণ করে। ফলে মস্তিষ্ক ও শরীরের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদান ব্যাহত হয়। সাধারণত তরুণ ও মধ্যবয়সীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে MS-এর অনেক উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
---
Multiple Sclerosis-এর সম্ভাব্য কারণ
MS-এর সঠিক কারণ এখনো সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি, তবে কিছু ফ্যাক্টর ভূমিকা রাখে বলে মনে করা হয়:
জিনগত প্রভাব
অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া
ভাইরাস বা ইনফেকশনের প্রভাব
ভিটামিন D-এর ঘাটতি
পরিবেশগত ও জীবনযাত্রাগত প্রভাব
---
Multiple Sclerosis-এর সাধারণ উপসর্গ
MS-এর উপসর্গ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে এবং সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়।
দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা বা দ্বিগুণ দেখা
শরীরে দুর্বলতা ও সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়া
হাত-পা অবশ বা ঝিনঝিন ভাব
ভারসাম্য হারানো ও হাঁটতে সমস্যা
মেমোরি দুর্বল হওয়া ও মনোযোগ কমে যাওয়া
পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া বা স্পাজম
ব্লাডার ও বাওয়েল কন্ট্রোলে অসুবিধা
---
ফিজিওথেরাপি কীভাবে সাহায্য করে
MS-এর চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
পেশি স্ট্রেচিং ও এক্সারসাইজের মাধ্যমে স্পাজম ও শক্তভাব কমানো
ব্যালান্স ও কো-অর্ডিনেশন উন্নত করার জন্য বিশেষ ব্যায়াম
শারীরিক কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে endurance training
ইলেকট্রোথেরাপি (TENS/IFT) ব্যবহার করে ব্যথা উপশম
মোবিলিটি সহায়ক যন্ত্র (walking aid, wheelchair) ব্যবহার শেখানো
দৈনন্দিন কাজ সহজ করার জন্য কার্যকরী ট্রেনিং (ADL training)
---
প্রতিরোধমূলক কিছু পরামর্শ
MS পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে কিছু বিষয় মেনে চললে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করা যায়:
নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সঠিক ঘুম নিশ্চিত করা
সুষম খাদ্য গ্রহণ ও ভিটামিন D বজায় রাখা
গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলা, কারণ এতে উপসর্গ বাড়তে পারে
---
শেষ কথা
Multiple Sclerosis জীবনকে চ্যালেঞ্জিং করে তুললেও সঠিক চিকিৎসা, ফিজিওথেরাপি ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। তাই প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত একজন নিউরোলজিস্ট ও ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।